সেই হ্যাপি এখন 'আমাতুল্লাহ'
ফের আলোচনায় নাজনীন আক্তার হ্যাপি। তবে এবারের সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে উঠে এসেছে তার নাম। যে হ্যাপি জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে এনেছিলেন সেই হ্যাপি এখন ইসলামের আদর্শে জীবনযাপন করছেন। তার নাম এখন 'আমাতুল্লাহ', এর অর্থ আল্লাহর নারী দাসী।
হ্যাপির এই বদলে যাওয়া জীবন নিয়ে বুধবার ঢাকা থেকে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
হ্যাপি কেন ও কোন পরিস্থিতি বদলে গেলেন আর এখন তার জীবন কেমন কাটছে সে প্রসঙ্গেই উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।
এতে জানানো হয়, হ্যাপি এখন বিবাহিত। তার আপাদমস্তক এখন বোরকায় ঢাকা। এমনকি মোজা দিয়ে ঢেকে রাখার জন্য তার হাতের নখও দেখা যায় না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে সরিয়ে নিয়েছেন আগের সব ছবি। তাকে নিয়ে প্রকাশও করা হয়েছে বই। যাতে ক্রিকেটার রুবেলের প্রসঙ্গ অনেকটাই এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যাপিকে নিয়ে লেখা বইটি প্রকাশ হয়েছে ঢাকার মাকতাবাতুল আজহার প্রকাশনী থেকে। এই প্রকাশনী সংস্থা থেকে ইসলামি বই প্রকাশ করা হয়ে থাকে। প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ বলেছেন, সবাই জানতে চান কোন বিষয়টি হ্যাপি তারকা জীবনযাপন ছেড়ে সাধারণ নিবেদিতপ্রাণ মুসলিম হতে অনুপ্রাণিত করেছে। তাই এ বই।
এদিকে হ্যাপিকে নিয়ে প্রকাশিত বইয়ের লেখক আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, 'এক রাতে তিনি (হ্যাপি) ফেসবুকে পোস্ট করা হাজার হাজার ছবি মুছে দেওয়া শুরু করেন। পরে চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেন।'
আবদুল্লাহ আল ফারুক জানান, তার স্ত্রী সাদেকা সুলতানা বইয়ের সহযোগী লেখক। তিনিই হ্যাপির সাক্ষাৎকার নেওয়ার অনুমতি পান।
বইয়ে হ্যাপি বলেছেন, ‘আমার নবজন্ম হয়েছে। এখন আমার আগের জীবনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।'
বইটি চলতি মাসে বাজারে আসে। যার ব্যাপক কাটতি রয়েছে বলে দাবি প্রকাশকের।
এক সময়ের মডেল হ্যাপি ২০১৩ সালে 'কিছু আশা কিছু ভালোবাসা' নামের একটি বাংলা সিনেমায় প্রথম অভিনয় করে খ্যাতি পান। তবে ২০১৪ সালের শেষ দিকে ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে বিতর্কের সৃষ্টি করেন। হ্যাপির অভিযোগ ছিল, ২৫ বছর বয়সী ওই ক্রিকেটার তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে 'শারীরিক সম্পর্ক' গড়ে তোলেন।
এ ঘটনায় রুবেলের ক্যারিয়ারে প্রভাব ফেলে। তাকে জেল খাটতে হয়। বিশ্বকাপ শুরুর কয়েক দিন আগে খেলার সুযোগ দিতে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ পাননি আদালত। এ নিয়ে দীর্ঘ সমালোচনার এক পর্যায়ে হ্যাপি রুবেলের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তুলে নেন এবং তিনি রুবেলকে 'ক্ষমা' করে দিয়েছেন বলে জানান।
এরপর নুতন ছবির কাজ শুরু করলেও হঠাৎ একদিন খবর বের হয়, তাবলিগ জামায়াতে যোগ দিয়েছেন হ্যাপি। নতুন জীবন শুরু করেছেন। - অনলাইন ডেস্ক
No comments