নানাকে হত্যার পর অনেক দুঃসময় গেছে: জয়
‘নানাকে হত্যার পর পারিবারিকভাবে অনেক দুঃসময় গেছে। ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে আমাদের পরিবারকে বিদেশে থেকে যেতে হয়। এ সময় শুধুমাত্র একটি ব্রিফকেস ভর্তি কাপড় এবং দুই-তিন শ’ ডলার ছাড়া আমাদের কাছে আর কিছুই ছিল না। এমন অবস্থায় এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছুটে বেড়াতে হয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে। ’
আজ বৃহস্পতিবার জন্মদিনের আগের দিন সিআরআই আয়োজিত 'লেটস টক উইথ সজীব ওয়াজেদ জয়' অনুষ্ঠানে তরুণদের প্রেরণা যোগাতে এসব কথা বলেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
পারিবারিকভাবে এমন সব প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে থেকেও শেষ পর্যন্ত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। কষ্টের সময়গুলো পার করে বর্তমান সজীব ওয়াজেদ জয় হয়ে ওঠা আত্মবিশ্বাসের ফসল বলে জানান তিনি।
১৯৭৫ সালের পর জয় তার বাবা ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া এবং মা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিদেশে থেকে যেতে বাধ্য হন। এ সময় তার বোন সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও ছিলেন তাদের সঙ্গে। মাত্র ২০০ থেকে ৩০০ ডলার হাতে নিয়ে ওই সময় তার পরিবার জার্মানি থেকে লন্ডন হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখানেই নিজের কিশোর বয়স পার করেন জয়। পরে স্নাতক পর্ব শেষ করেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় 'দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে। তার বিষয় ছিল কম্পিউটার বিজ্ঞান।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পর্ব শেষ করার পর তিনি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা। এরই মধ্যে বিশ্বের বুকে তিনি বাংলাদেশকে আরো পরিচিত করে তুলেছেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে জয় অর্জন করেন 'ইয়াং গ্লোবাল লিডার' অ্যাওয়ার্ড। আইসিটি খাতে বিশেষ দক্ষতার জন্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তাকে এ পুরস্কার প্রদান করে। প্রতিবছর বিশ্বের ২৫০ জন তরুণ নেতৃত্বকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়, যা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।
২০১৬ সালে জয় অর্জন করেন 'আইসিটি ফর ডেভলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড'। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশে আইসিটি খাতের উন্নয়ন ও টেকসই উন্নয়নের জন্য আইসিটি খাতের সর্বোচ্চ ব্যবহারের স্বীকৃতিস্বরূপ ত্রিদেশীয় সংস্থা 'প্লান ট্রিফিনি' আন্তর্জাতিক এনজিও 'গ্লোবাল ফ্যাশন ফর ডেভেলপমেন্ট' এবং নিউ হাভানা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলের সঙ্গে একত্রে এ পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের এক বছর পূর্তিতে এ পুরস্কার প্রদান করে ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অব গভর্নেন্স অ্যান্ড কম্পিটিটিভনেস।
No comments