অর্থের অভাবে কি থেমে যাবে রাসেলের লেখাপড়া?
রিকশা চালক বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হবে। ছেলে বাবার সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে লেখাপড়াও করছিল। এসএসসিতে পুরো এলাকার মধ্যে সেরাও হয়। কিন্তু হঠাৎ বাবা-ছেলের সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। বাবার আকস্মিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়ে তাদের পুরো পরিবার।
বলছি রাসেলের কথা। বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা ইউনিয়নের সকিম মাতব্বরের পাড়ায়। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে রাসেল দ্বিতীয়। বড় ভাই মাদ্রাসায় পড়ে।
জিপিএ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর বাচামারা ইউনিয়নের বাচামারা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এ পর্যন্ত তিনজন ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। রাসেল তাদেরই একজন। ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ উত্তীর্ণ হয়। তারপর মেধাবী ছেলেকে বাবা শখ করে ভর্তি করিয়েছিলেন ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত ঢাকা উদ্যান সরকারি মহাবিদ্যালয়ে।
কিন্তু গত ৪ জুলাই হঠাৎ বাবা হাবিবুর রহমানের আকস্মিক মৃত্যুতে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় তার। সাত সদস্যর পরিবারের উপার্যনশীল কেউ নেই। সংসার চালানোর চাপ তারই কাধে এসে পড়েছে। ঢাকা শহরে থেকে লেখাপড়া চালানো রাসেলের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পড়ালেখা বাদ দিয়ে বর্তমানে রাসেল হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজে চলেছে।
মেধাবী ছাত্র রাসেল বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে লেখাপড়াই করবে নাকি সাত সদস্যের পরিবারের দিকে তাকিয়ে চাকরি খুঁজে চলবে? রাসেলের মা আক্তার বানুর শঙ্কা অর্থাভাবে ছেলের শিক্ষার দরজা হয়তো এবার বন্ধ হয়ে যাবে।
রাসেল জানায়, তার বাবা ঢাকায় রিকশা চালাতেন। বাবার ইচ্ছাতেই ঢাকাতেই ভর্তি হন রাসেল। কিন্তু হঠাৎ বাবার মৃত্যুতে এখন তার লেখাপড়া চালানোটাই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পরিবারের দায়িত্বটাও তার কাধে এসে পড়েছে।
No comments